ভারতের অনুমতি না পাওয়ায় বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থল বন্দরে আটকে পড়া সেই ট্রাকটি অবশেষে ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। এর আগে ভারতের অনুমতির অপেক্ষায় চারদিন ধরে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ট্রানজিট পণ্যের কার্গোবাহী ট্রাকটি সেখানে আটকে ছিল।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টায় বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে ভুটানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এর আগে থাইল্যান্ড থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসা ভুটানের পণ্য পরিবহনের প্রথম ‘ট্রায়াল রান’ বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়। তবে ভারতের অনুমতি না পাওয়াসহ নানা জটিলতার কারণে গত ২৭ নভেম্বর থেকে তা বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকা পড়ে।
সূত্র জানায়, থাইল্যান্ডের ব্যাংককের ‘আবিত ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড’ ৮ সেপ্টেম্বর ভুটানের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আবিত ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে ৬ ধরনের পণ্য (ফল, জুস, জেলি, শুকনো ফল, লিচু-স্বাদের ক্যান্ডি ও শ্যাম্পু) কনটেইনারে পাঠায়। থাইল্যান্ডের ল্যাম চ্যাবাং বন্দর থেকে ছাড়ানো এসব পণ্য ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে এসে পৌঁছায় এবং ২৭ নভেম্বর থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকা পড়ে।
জটিলতা কাটিয়ে সবশেষ সোমবার বিকেলে ভুটানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়া কার্গোবাহী ট্রাকটি।
মূলত বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ স্বাক্ষরিত চুক্তি ও প্রটোকলের আওতায় ট্রানজিট পণ্য পরিবহনের প্রথম ‘ট্রায়াল রান’ হিসেবে কার্গোটি ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে। শুরুতেই বড় ধরনের জটিলতায় পড়লেও শেষ পর্যন্ত ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্যচালান সফলভাবে ভুটানে যাওয়ায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বুড়িমারী কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিকেলে ভারতের কলকাতা কাস্টমস বিভাগ চ্যাংড়াবান্ধা কাস্টমসের কাছে সড়কপথে ট্রানশিপমেন্ট চালান পাঠানোর অনুমতি পাঠায়। পরে চ্যাংড়াবান্ধা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তা বাংলাদেশি কাস্টমসকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। প্রয়োজনীয় নথি যাচাই শেষে সন্ধ্যার কিছু আগে বেনকো লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে শূন্যরেখা থেকে কার্গো ট্রাকে তোলা কনটেইনারটি চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরে পাঠানো হয়।
বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস) এর সহকারী কমিশনার দেলোয়ার হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আসা ভুটানগামী পণ্যবাহী কার্গো ট্রাকটি ভারতের অনুমতিতে জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা বন্দরের নাম না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়। পরে সমাধান হলে; ভারত কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেন।

স্টাফ রিপোর্টার ইউসুফ
প্রকাশের সময়: সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৯:৩০ অপরাহ্ণ